বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সহায়তার পর এবার দোকান কর্মচারীদের পাশে দাঁড়ালো দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। আজ ২৩ মে রোজ মঙ্গলবার, শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাচাই বাছাই শেষ করে ৭০০ কর্মচারীর একটি তালিকা তৈরী করেছে। সে তালিকা অনুসারে প্রতিজন কর্মচারী নগদ ১০ হাজার টাকা করে ৭০০ জনকে মোট ৭০ লক্ষ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বঙ্গবাজারের অগ্নিদুর্ঘটনার সময় থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন অনলাইনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সবাইকে আহ্বান জানান। নগদ টাকা অনুদানের পাশাপাশি আগুনে পোড়া কাপড় অকশন মূল্যে কিনে হলেও সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমাজের বিভিন্ন সেলিব্রেটি, গুণীজন, মন্ত্রী, প্রতিষ্ঠান সহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। বিদ্যানন্দের এই অনলাইন ক্যাম্পেইনে প্রায় দুই কোটি টাকা অনুদান সংগৃহীত হয়। এর মধ্যে গত মাসে ১ কোটি টাকা এবং আজ ৭০ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপে আরও কিছু কর্মচারীর হাতে বাকী ৩০ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে।উল্লেখ্য জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সহায়তা প্রদানের কাজটি করছে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি অগ্নিদূর্ঘটনার মতো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এর পূর্বে ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিদূর্ঘটনা, চট্টগ্রামে বিএম ডিপোর বিস্ফোরণ এবং পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবিতে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বাংলাদেশের মানুষ আস্থা রাখায় বিদ্যানন্দের এমন সব উদ্যোগে মানুষ অনুদান দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়। দেশবাসীর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ পেয়ে কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বঙ্গবাজারে বিভিন্ন
দোকানে কাজ করা কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। ২ টি স্কুল, ৭ টি এতিমখানা, ১ টি হাসপাতাল সহ সারাদেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বিদ্যানন্দ খাবার বিতরণ সহ জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। এর স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর একুশে পদক পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।